এস এম তানবীর স্টাফ রিপোর্টার মাদারীপুরের কুমার নদে গোসলে নেমে নিখোঁজের চারদিন পর দুই ভাই-বোনের মরদেহ ভেসে উঠেছে। পরে স্থানীয়রা মরদেহ উদ্ধার করে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে মাদারীপুর সদর উপজেলার
read more
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাংবাদিকতা একটি মহৎ পেশা। যিনি সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন তাকে সাংবাদিক বলা হয়। সাংবাদিকরা হলো দেশ এবং জাতির বিবেক ও দর্পন স্বরুপ। কিন্তু বর্তমান সময়ে সাংবাদিকরা কি
জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও হরিপুর উপজেলায় একটি বিদ্যালয়ে চারটি গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হরিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ জানালে কর্তন করা গাছগুলো জব্দ করে প্রশাসন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরের চারটি গাছ কর্তন করা হয়েছে। এক ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে গাছগুলো কর্তন করা হচ্ছে। কী কারণে গাছ কর্তন করা হচ্ছে- এ প্রশ্নের জবাবে গাছ কাটতে থাকা তিনি বলেন, স্থানীয় তানজির ভাইয়ের নির্দেশে গাছ কাটা হচ্ছে। এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য গাছ কর্তনে বাধা দিলে ঘটনাস্থলে আসেন তানজির নামের ওই ব্যক্তি। তিনি নিজেকে বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য হিসেবে পরিচয় দেন। এ ঘটনায় হরিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করেন স্থানীয় চার নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্বাস আলী। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার বিদ্যালয় মাঠে থাকা চারটি আমগাছ আইন বহির্ভূতভাবে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই স্থানীয় লোকজনের কাছে বিক্রি করে দেয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাতিজা বেগম। বিদ্যালয়ের গাছগুলো কর্তনের বিষয়টি জানার পরেই স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্বাস আলী গিয়ে গাছ কাটতে বাধা দেন। এদিকে, নিজেকে বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য দাবি করে তানজির আহম্মেদ বলেন, এই বিদ্যালয়ের ৬৬ শতক জমি আমার দাদারা দিয়ে গেছেন। স্কুলের দখলে ছিল ৪০ শতক। আমি আমার জমিতে থাকা গাছ কেটেছি। গাছ বিক্রির টাকা আমরা বিদ্যালয়ের উন্নয়নের কাজে লাগাব। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্বাস আলী বলেন, স্থানীয়রা আমাকে বিষয়টি জানানোর পরেই আমি সেখানে গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে দিয়েছি। পরে তানজির এসে বলেন জমি নাকি তার, গাছও তার। তিনি মিথ্যা বলছেন। আমি বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। এ বিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাতিজা বেগমকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। হরিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান বলেন, বিষয়টি জানার পরেই প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে কর্তন করা গাছগুলো জব্দ করা হয়েছে। যারা গাছগুলো কেটেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে ক্রমেই বাড়ছে শীতজনিত দুর্ভোগ। জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে হিমেল হাওয়া। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে চারপাশ। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে ঠাকুরগাঁও জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন দরিদ্র-শ্রমজীবী মানুষ, তবে জেলা প্রশাসন বলছে- শীত মোকাবিলায় তারা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছেন। এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমান বন্দরের রানওয়েতে কোনো বিমান অবতরণ করতে পারেনি। বিমান বন্দরের ব্যবস্থাপক এ কেএম বাহাউদ্দিন জাকারিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, তবে আপাতত ফ্লাইট বাতিলের কোনো সম্ভাবনা নেই। জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও জেলায় আবহাওয়া অফিস না থাকায় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তাপ পরিমাপক যন্ত্র দিয়ে প্রতিদিন তাপমাত্রা রেকর্ড করে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘যত দিন যাচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। দুই দিন ধরে বেলা ৯টা থেকে ১০টার আগে সূর্যের দেখা মেলে না। এবার জেলায় শীতের তীব্রতা বেশি হতে পারে। তিনি জানান, কয়েকদিন ধরে ঠাকুরগাঁও জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২-১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তা-ঘাট একেবারে ফাঁকা, মানুষজন নেই। কুয়াশার কারণে বিভিন্ন সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। শীতের তীব্রতার জন্য নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ কাজে যেতে পারছেন না। শ্রম বিক্রি করতে না পারায় দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। শহরের হাজীপাড়া এলাকার সামসুল আলম বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়েছে; সারাদিনই কুয়াশায় ঢাকা থাকছে চারপাশ। ঠান্ডার কারণে আমি জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হয়েছি।’ কালিতলা এলাকার রিকশাচালক বসির উদ্দীন বলেন, ‘ঠান্ডার কারণে এখন মানুষজন রিকশায় উঠতে চায় না। এ কারণে আমাদের আয়-রোজগার কমে গেছে। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’ ট্রাক চালক আজিম উদ্দীন আজাদ বলেন, ‘অন্য বছরের মতো এবারও ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে ঠাকুরগাঁওয়ের জনপদ। তাই দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। ঘন কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহের কারণে গাড়ি চালানো কষ্টকর হয়ে গেছে। শহরের হঠাৎপাড়ার শামীমা আক্তার, ডিসি বস্তির নজরুল ইসলাম, মুন্সিপাড়ার আমির হোসেন, হাজীপাড়া এলাকার শফিকুল জানান, কুয়াশার কারণে সকালে কিছুই দেখা যায় না। সূর্য ওঠে অনেক দেরিতে। এছাড়া সন্ধ্যার পরপরই প্রচন্ড ঠান্ডা অনুভূত হয়। এতে টেকাই বড় মুশকিল হয়ে পড়েছে তাদের। এখন পর্যন্ত কেউ তাদের শীতবস্ত্র দেয়নি। শীতের কারণে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিনই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন জেলার মানুষ। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সাজ্জাদ হায়দার শাহীন। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন শীতজনিত শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে শিশু-বৃদ্ধ রোগীদের চাপ বাড়ছে। হাসপাতালে আসা রোগীদের মধ্যে ৭০ শতাংশই শিশু। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘জেলায় একটি আবহাওয়া অফিস দরকার, তাহলে আরও নির্ভুলভাবে তাপমাত্রা রেকর্ড করা যেত। কৃষিপ্রধান ঠাকুরগাঁও জেলার কৃষকদের আগাম সতর্কবার্তা প্রদান করা যেত।’ অন্যদিকে, শীত মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ে আগাম শীত হওয়ার কারণে অগ্রিম ৮০ হাজার শীতবস্ত্রের জন্য মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। দুই একদিনের মধ্যে শীতবস্ত্র পাবো বলে আশা করি। এছাড়া এরই মধ্যে বেসরকারিভাবে এক হাজার শীতবস্ত্র পাওয়া গেছে, সেগুলো ভাসমান অতিদরিদ্র ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।’ বিমান ওঠানামা ব্যাহত : ঘন কুয়াশায় নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত রানওয়েতে কোনো বিমান ওঠানামা করেনি বলে জানিয়েছেন, বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক একেএম বাহাউদ্দিন জাকারিয়া। তিনি বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে সকাল ৮টায় বেসরকারি বিমান সংস্থা নভোএয়ারের ও এয়ার অ্যাস্টার দুটি ফ্লাইট সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণের কথা থাকলেও বিমান দুটি নামতে পারেনি। রানওয়েতে উড়োজাহাজ চলাচলের জন্য কমপক্ষে দুই হাজার মিটার ভিজিবিলিটি (দৃষ্টিসীমা) থাকতে হয়। বর্তমানে ১২০০ মিটার দৃষ্টিসীমা বিরাজ করছে। আকাশ পরিষ্কার হলে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। শীতের এ সময় বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রায় এমনটি ঘটে। তবে কোনো ফ্লাইট বাতিলের সম্ভাবনা নেই।
Rashed, Special Correspondent : The vast banks of the Yamuna are full of various crops in Sariakandi, Bogra. Farmers are profiting by selling the crops. Many now have homes in