1. dailypressjournal@gmail.com : bangla :
বিআরটিএ’র ঢাকা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ - bangla.dailypressjournal.com
শিরোনামঃ
ধর্মপাশায় বৈধ ইজারাদারকে জোড় করে উঠিয়ে দিয়ে ফিশারী দখল করে লুঠপাট ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ। ছাত্র হত্যা মামলায় গণপূর্তের ২ আবুল কালাম আজাদই জড়িত বাংলাদেশে এখন শান্তির সুবাতাস প্রবাহিত হচ্ছে: রূপসায় আজিজুল বারী হেলাল রাজউকের নাম ভাঙ্গিয়ে কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে সাহেব আলীর বিরুদ্ধে! সন্ত্রাসীদের হামলার স্বিকার হন : আনিসুর রহমান! ফ্যাসিষ্টের সহযোগী সাবেক প্রধান বিচারপতির সাথে ছবি তুলে প্রমোশন ও বদলি বাণিজ্য! প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ কর্তনের অভিযোগ, গাছ জব্দ প্রশাসনের ঘন কুয়াশার চাদরে ঠাকুরগাঁও বাড়ছে শীতজনিত দুর্ভোগ! Vast banks of the Yamuna are full of crops কোরআন ও হাদিসের আলোকে ইমাম মাহদী (আ.) এর আগমন এবং বিশ্লেষণ!

বিআরটিএ’র ঢাকা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ

  • Update Time : Tuesday, October 8, 2024
  • 170 Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ঢাকা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাবর রোডে বি-ব্লকের ১৩/এ/১ নম্বর শেলটেক চন্দ্রমল্লিকায় তার রয়েছে আলিশান ডুপ্লেক্স এপার্টমেন্ট। এছাড়াও শ্যামলীর ২ নম্বর রোডে ১২-ঠ-৭ হোল্ডিংস্থ একটি মার্বেল পাথর খচিত বিলাসবহুল বাড়িও রয়েছে। গাজীপুরের জয়দেবপুর ও চন্দনায় রয়েছে দু’টি নজরকাড়া বাড়ি।

শুধু তাই নয়, মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরার কাচারিকান্দিতেও নামে বেনামে বিপুল সম্পদ গড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতিবাজ এ কর্মকর্তা মাঝে মধ্যেই দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যেরে দেশগুলোতে পরিবারের সদস্যদের বিলাস ভ্রমণের খবর সবারই জানা।

সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের অধীনস্থ বিআরটিএ’র বিগত সময়ের সিএনজি ‘রিপ্লেস’ ধান্ধার হোতা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ঘুষবাজ রক্ষণাবেক্ষণ আরেক লম্বা হস্তের খুশি-খেয়াল মতো ধান্ধায় বেহুশ।

তিনি সেই লম্বা হাত মানে-পরিচালক প্রশাসন’র নির্দেশে যে কয়জন ওই আন্দোলন ভিন্নখাতে নেয়ার ধ্বংসযজ্ঞের ইন্ধন যুগিয়েছেন-তাদের মধ্যে অন্যতম।

সূত্রটি জানায়, বরাবরই তিনি তার অদৃশ্য লম্বা হাতের ছোঁয়ায় অর্থাৎ পরিচালক প্রশাসনের ক্ষমতা বলে রক্ষাকবজরূপে সব সার্কেলের ঘুষবাজদের সক্রিয় রাখার বিনিময়ে পান মোটা উৎকোচ।

এর আগেই ডিডি থাকা অবস্থায় সিএনজি’র রিপ্লেস ধান্ধাসহ মোটা দাগে লুটপাটের টাকায় বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিকানার সাথে মহাগুরু বনে যান।

এরপর ওই তকমায় চিটাগাং থেকে ঢাকায় ফিরে রয়েছেন বহাল তবিয়তে। আর নিয়োগ বদলি বাণিজ্যে তো বরাবরই তার জুড়ি মেলা ভার।

সূত্র আরও জানায়, বিআরটিএ’র ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক হয়েই অদৃশ্য হাতের ছোঁয়ায় শহীদুল্লাহ ‘বিআরটিএ’ ঘিরে অদৃশ্য শক্তির বলয় তৈরি করে রেখেছেন।

এ খাতের অনিয়ম দেখার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানটির যে বিভাগটি রয়েছে, সেটিও তার হাতের মুঠোয়। বিআরটিএ’র সব কূটকৌশলের মাস্টারমাইন্ড বলেও রয়েছে তার খ্যাতি। বিভাগীয় পরিচালক শহীদুল্লাহ’র সর্বোচ্চ পদে আসীনদের সঙ্গেও তার অন্তরঙ্গ ওঠা বসা।

এভাবেই নীতির ফেরিওয়ালার বেশে বিগত কয়েক বছরে চতুর শহীদুল্লাহ নামে-বেনামে গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ। এছাড়া তিনি বিআরটিএ’র ‘জমিদার’ বলে বেশ পরিচিত ।

তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে-শতাধিক গাড়ির শোরুম ম্যানেজারও। আর এসব সখ্যতা ও সুখ্যাতির অক্ষুণ্নতা রক্ষায়ই আলোচিত ছাত্র আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নেয়ার অংশীদার হয়ে বিআরটিএ’র ধ্বংসযজ্ঞের একটি অংশে মূল কয়েক হোতাদের পরেই পরিচালক শহীদুল্লাহ’র নাম ছড়াচ্ছে।

যা চলমান সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার সরাসরি বরাত না মিললেও সংশ্লিষ্ট দফতরেও নানা মুখে ছড়িয়ে পড়ছে। সদ্য বিআরটিএ’র ওই লম্বা হস্তের সাথে এ শুভানুধ্যায়ীর বে-খবরটিও ঘুরপাকের আভাসে এ থেকে নিজেকে আড়াল করার নানা ফন্দিও তিনি ইতোমধ্যে এঁটে রেখেছেন।

তার মানে-ওই সেই কথা“ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাই না” অর্থাৎ-তিনি ওই আন্দোলনের সময় দেশে ছিলেন না, বলে প্রচার শুরু করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিআরটিএ’র ঢাকা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category