December 5, 2024, 10:44 am
রেজাউল আজিম, বাঁশখালী প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ৪নং বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ভবন অবৈধভাবে দখল করে বসবাস, ভবন মেরামতের জন্য সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত তহবিলের টাকার অপব্যবহার, সরকারি পুকুর দখল করে মাছ চাষ ও দুর্নীতির অভিযোগে আজ ১০ নভেম্বর রবিবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় ইউনিয়ন পরিষদের ময়দানে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় জনগণ, প্রাক্তন মেম্বার মমতাজ ও তার স্ত্রী বর্তমান মহিলা মেম্বারের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন এবং দ্রুত তদন্তসহ কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সাধারণ জনগণ।
প্রাক্তন মেম্বার মমতাজ উদ্দীন এবং বর্তমান মহিলা মেম্বার মেরিনা আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা ৪নং বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ভবন অবৈধভাবে দখল করে নিজেরা বসবাস এবং কিছু অংশ ভাড়া দিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। স্থানীয় সাধারণ নিরীহ অসহায়দের সাহায্যের কথা বলে অসহায়দের নামে প্রায় ১৭৮টি সিম নিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং এর সাহায্যে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, উক্ত অর্থের একটি অংশ আত্মসাৎ করার জন্য সিমগুলো বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহৃত হয়েছে এবং মেরামত কাজের নামে প্রদর্শিত হলেও প্রকৃতপক্ষে কোনো কার্যকর মেরামত কার্যক্রম পরিচালিত হয়নি। এই দুর্নীতির পরিমাণ বেড়ে প্রায় কোটি টাকায় পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসনের একটি চিঠির মাধ্যমে এই বিষয়ে যথাযথ তদন্তের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে জানানো হয়েছে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দ্রুততার সাথে এই অনিয়ম এবং অভিযোগের সুষ্ঠু সমাধান করতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে দুর্নীতি-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিতে পাঁচ শতাধিক স্থানীয় মানুষ অংশগ্রহণ করেন। তারা দুর্নীতিবাজ জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান। তাদের দাবি, স্থানীয় তহবিলের অপব্যবহার এবং জনগণের সম্পদের এই ধরনের অপচয় বন্ধ করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। অংশগ্রহণকারীরা বলেন, জনগণের অধিকার সুরক্ষায় এ ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং প্রশাসনকে অবিলম্বে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
পাশাপাশি সাধারণ জনগণের আরো একটি অভিযোগ বর্তমান চেয়ারম্যান রেজাউল করিম ইউনুস মুন্সির বিরুদ্ধে! নাগরিক সেবা বঞ্চিত ও আর কিও পদ্ধতিতে ৯লাখ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্ধ পেয়েছে তা স্থানীয় ই.উ.পি সদস্যদের সাথে সমন্বয় না করে আত্মসাৎ করেছে এবং হাট- বাজার ফান্ডের ২লাখ ৪০ হাজার তিনশত ছিয়াত্তর টাকা আত্মসাৎ করেছেন। নাগরিক সেবা গ্রহণের জন্য সাধারণ মানুষ দস্তগত করার জন্য চেয়ারম্যানের কাছে গেলে হয়রানি ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে অপমান করে।
জনসাধারণের মত অনুযায়ী, বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তারা আশা করছেন যে, প্রশাসন এই ঘটনার বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। একই সাথে এই ধরনের দুর্নীতির পুনরাবৃত্তি বন্ধ করার জন্য কঠোর নজরদারি ও সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন।
এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত জনগণ ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বাহারছড়া ইউনিয়নের সুষ্ঠু প্রশাসন প্রতিষ্ঠার দাবি করেন এবং দ্রুত এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।