আমজাদ হোসেন নওগাঁ
নওগাঁ মান্দা উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়ন পরিষদের হাজী গোবিন্দপুর গ্রামের ঠনঠনিয়া পাড়ার সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল জলিলের ছেলে, আব্দুল আজিজ, মাত্র ১৪ বছরে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের সার্ভেয়ার আব্দুল আজিজ।
নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন কোটি কোটি টাকার সম্পদ।
চাকুরি পাওয়ার কয়েক বছরের মধ্যে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ ভাবে সম্পদের মালিক হয়েছেন । মাত্র ১৪ বছরে অর্জিত অর্থে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে ফেলেছেন এই সার্ভেয়ার আব্দুল আজিজ ।
সরে জমিনে গিয়ে প্রতিবেশীদের সূত্রে জানাগেছে,তার বাবা পৈত্রিক সূত্রে বাড়ী-ভিটাসহ মাত্র ৪ থেকে ৫ বিঘা জমি পেয়েছেন। তার বাবা অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করিয়েছেন তাকে। এরপর ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে জলিলের ছেলে আব্দুল আজিজ সড়ক ও জনপদ বিভাগের সার্ভেয়ার পদে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে সার্ভেয়ার আজিজের শুরু হয় আলাউদ্দিনের চারাগের মতো শুরু হয় তেলেসমাতি। ক্রম্বানয়ে পরিবর্তন হতে থাকে ভাগ্যের চাকা। চাকরির নামে আলাদ্দিনের চেরাক হাতে পেয়ে যান তিনি।
শহরে ও গ্রামে নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন কোটি কোটি টাকার রাজশাহী শহরে জমি ক্রয় করে গড়ে তুলেছেন চারতলা বিশিষ্ট ভবন নিজ গ্রাম হাজী গোবিন্দপুর মোড়ে গড়ে তুলেছেন সিএনজি পাম স্টেশন সহ ক্রয় করেছেন প্রায় ১০ থেকে ১৫ বিঘা জমি সহ গ্রামে তৈরি করেছেন আলিশান বাড়ি।
অভিযোগ রয়েছে, টাকার গরমে নিজ পজিশনের জমি না হলেও প্রতিবেশীকে কোণঠাসা করতে তাদের আঙ্গিনার সামনে চড়া মূল্যে জমি ক্রয় করেন আজিজের পরিবার। প্রতিবেশীরা বলেন এর আগে আজিজের অঢেল সম্পদের বিষয়ে দূর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগও হয়েছিল। সেটিও বিভিন্নভাবে ধামাচাপা দেওয়া হয় । এরপর সেই অভিযোগের বাদী মারা গেলে তা ধামাচাপা পড়ে যায়। এখন প্রমোশন পেয়ে তিনি সওজের উপসহকারি প্রকৌশলী হিসেবে চাঁপাই নবাবগঞ্জে কর্মরত আছেন।
অনুসন্ধানের ১ম পর্বে আব্দুল আজিজের এসব সম্পদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার কোন সম্পদ নেই। তিনি চাকরি করে সাধারণ জীবন যাপন করছি বলে ফোনটি কেটে দেন তিনি ।