November 2, 2024, 6:10 am
হাবিব জিহাদী ময়মনসিংহ
জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার কৃতি সন্তান বাড্ডা থানাধীন হাজী মাদবর আলী হাচানিয়া দাখিল মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক(ইংরেজি) সুলতানা রাজিয়া।
বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে নির্বাচিত শিক্ষকের মাঝে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বতীকালীন সরকারের শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদুজ্জামান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান ড. এস এম এ ফায়েজ, ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের প্রধান ড. সুসান ভাইস প্রমুখ।
জানা গেছে, সিনিয়র শিক্ষক(ইংরেজি) সুলতানা রাজিয়া জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে (২০২৪) বাড্ডা থানা পর্যায়ে দুই বার, মহানগর পর্যায়েও দুই বার শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন।
সুলতানা রাজিয়া ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার পাড়াগাঁও গ্রামের হাজি মো: আবুল কাশেম ও মাহমুদা খাতুনের নয় সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় এবং যায়যায়দিন ভালুকা প্রতিনিধি কবি সফিউল্লাহ আনসারীর ছোটবোন।
হবিরবাড়ী বাহারুল উলুম আলিম মাদরাসার উপাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম এর সহধর্মিণী এবং শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির লেকচারার রিদুয়ানা ইসলাম রূহামার গর্ভধারীনি মা।
সুলতানা রাজিয়া ১৯৮২ সালে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার পাড়াগাঁও গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার ৯ ভাই-বোনের মধ্যে ৫ জনই নিয়োজিত আছেন শিক্ষকতা পেশায়।
স্থানীয় সমলা তাহের আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৮ সালে মাধ্যমিক, বাটাজোড় সোনার বাংলা মহাবিদ্যালয় থেকে ২০০০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক, ২০০৪ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি।
পরবর্তীতে ২০০৮ সালে উত্তরা ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন সুলতানা রাজিয়া। ইতোপূর্বে ২০০৬ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএড ডিগ্রি অর্জন করেন।
সুলতানা রাজিয়া বলেন, আজকের এ সাফল্যে আমি ভীষণ আনন্দিত এবং গর্বিত। শিক্ষক হিসেবে আমার এই প্রাপ্তি শিক্ষকতা পেশায় অনুপ্রাণিত করবে। শিক্ষক হচ্ছেন জাতি গড়ার কারিগর। একজন আদর্শ শিক্ষক হয়ে জাতি বিনির্মানে ভূমিকা রাখতে কাজ করে যেতে চাই। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠানের প্রতি, শিক্ষার্থীদের প্রতি দায়িত্ব বোধ থেকে আদর্শ শিক্ষাদানে নিজেকে নিয়োজিত রেখে বিভিন্ন শিক্ষা, ধর্মীয় ও সামাজিক কাজ করে যাচ্ছি।
তার এই প্রাপ্তিতে নিজের প্রতিষ্ঠান প্রধান, সহকর্মী, শিক্ষার্থী, পরিচালনা কমিটি তার নিজের গ্রামের মানুষ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানিয়েছেন।