November 2, 2024, 5:04 am
নিজস্ব প্রতিবেদক
সাভারের আশুলিয়ার ব্যবসায়ী জাহিদ হাসানকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা ও চেকবই ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিলেন- অসীম গুপ্তা, আবু সাঈদ ও রেজাউল করিম। অভিযুক্তরা ব্যবসায়ী জাহিদ হাসানের প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। শনিবার (১০ আগস্ট ২০২৪) সন্ধ্যা ৭টার দিকে আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকায় ব্যবসায়ী জাহিদ হাসানের ‘পাওয়ার প্লাস’ নামের ব্যাটারি তৈরির কারখানায় এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, বিগত ৯ মাস পূর্বে আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকায় ‘পাওয়ার প্লাস’ ব্যাটারি ফ্যাক্টরি চাঁদাবাজের অত্যাচারে পরিচালনা করতে পারছিলেন না ব্যবসায়ী জাহিদ হাসান। চাঁদাবাজদের অতিষ্ঠ থেকে বাঁচতে ব্যবসায়ী জাহিদ হাসান কিছুদিনের জন্য গা ঢাকা দেন। তার অবর্তমানে কারখানার সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেন পারচেজ ম্যানেজার আবু সাঈদ এবং অ্যাকাউন্টস্ ম্যানেজার অসীম গুপ্তা।
এর কিছুদিন পরেই সবার আসল রূপ বেরিয়ে আসে। ফ্যাক্টরির কোন প্রকার হিসাব নিকাশ প্রদান না করে ব্যবসায়ী জাহিদ হাসানকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতো অভিযুক্ত কর্মচারীরা। পরবর্তীতে ব্যবসায়ী জাহিদ হাসান ১০ আগস্ট সন্ধ্যায় ফ্যাক্টরিতে ফ্যাক্টরীতে গিয়ে হিসাব হিসাব চাইলে কিছু বুঝে উঠার আগেই তার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে নগদ ১০ লাখ টাকা এবং কোম্পানির নামে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ২টি ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের ১টি চেকবই এবং পালসার ১৩৫ মোটর বাইক অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে অসীম গুপ্তা, আবু সাঈদ ও রেজাউল করিম ফ্যাক্টরী হাতিয়ে নেয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে স্ট্যাম্প আনতে গেলে কৌশলে পালিয়ে যান ব্যবসায়ী জাহিদ হাসান। পরবর্তীতে জাহিদ হাসান ঢাকায় এসে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন বলে জানান তিনি।
এবং আরো অভিযোগ আছে কারখানার মহিলার ওয়ার্কারের সাথে শারীরিক অত্যাচার করে তাকে ঐখান থেকে বের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অন্যান্য ওয়ার্কাররা সাক্ষী আছে। প্রয়োজন হলে তারাও সামনে আসবে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা কেউই ফোন রিসিভ করেননি।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা গেছে।